নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (এনসিসি) সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ডের ভূমিপল্লী এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভূমিপল্লী এলাকায় শতাধিক বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। এইসব ভবনে বেশির ভাগই অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব ভবন থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২০ লাখ টাকা আদায় করছে নামধারী সন্ত্রাসী ঠিকাদার ও তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা। বিভিন্ন পত্রিকায় উক্ত বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে বছর খানেক আগে তিতাস অভিযান চালিয়ে বহুতল ভবনের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। পরে আবার রাতের আঁধারে এসব ভবনে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। এসব ভবন থেকে নারায়ণগঞ্জ তিতাসের কথা বলে প্রতিমাসে বিশ লাখ টাকা আদায় করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ ভূমিপল্লীতে নতুন শতাধিক বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। এসব ভবনের বেশিরভাগ গ্যাস সংযোগ অবৈধ বলে জানা যায়। প্রতিমাসে এক একটি ভবন থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা তোলা হয় নারায়ণগঞ্জ তিতাস অফিসের কথা বলে। যেসব ভবন মালিক প্রতিমাসে টাকা দিবে তাদের অবৈধ গ্যাস সংযোগ আর বিচ্ছিন্ন করা হবে না। উক্ত ভবনগুলোর বিরুদ্ধে একাধিকবার বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ প্রকাশিত হলেও তিতাস কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে অভিযান চালায়নি।
এলাকাবাসী জানায়, সিটি কর্পোরেশনের ৪নং ওয়ার্ড ভূমিপল্লী এলাকায় বেশিরভাগ বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব বাড়ি থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে তিতাসের লোকজন। তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঠিকাদার ও এলাকার মাস্তানদের দিয়ে এসব টাকা কালেকশন করায়। তিতাস গত বছর ভূমিপল্লী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাপক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। রহস্যজনক কারণে তিতাস কর্মকর্তারা ভূমিপল্লীতে অভিযান চালাচ্ছেন না। কারণ এই ভূমিপল্লী থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা অবৈধ ভাবে আদায় হচ্ছে। এতে করে সরকার মাসে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাসের ডিজিএম মামুনুর রশিদ মুঠোফোনে জানান, আপনারা আমাদেরকে উক্ত বাড়িগুলোর ছবি পাঠান আমরা ব্যবস্থা নেবো।
সচেতন মহলের দাবি, একজন তিতাস কর্মকর্তার এমন বক্তব্য হাস্যকর এবং রহস্যজনক। তিনি উক্ত এলাকায় অভিযান না চালিয়ে সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠাতে বলাটা অপরাধ। সরকার তাকে এখানে রেখেছেন অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য। কিন্তু ডিজিএম সাহেব অভিযান না করে দায় সারা বক্তব্য দিচ্ছেন। উক্ত এলাকাগুলোতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের আইনের আওতার আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে তিতাসের যেসব অসাধু কর্মকর্তারা এই অবৈধ কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।